

রেখা রায়,কালিয়াগঞ্জ,উত্তর দিনাজপুর,৮অক্টোবর; মূখোশ নাচ গ্রাম গঞ্জে মানুষের কাছে একটু ভিন্ন চাহিদা।এরাজ্যে প্রচুর রাজবংশি মানুষেরা মূখোশ নাচের সাথে যুক্ত রয়েছে,ওই সমস্ত মুখোশ নাচের সঙ্গে যুক্ত থাকা রাজবংশী মানুষদের কথা ভেবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা দেবার ব্যবস্থা করেছেন তাতে মুখোশ নাচের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষেরা তাদের কাজের উৎসাহতা বৃদ্ধি পেয়েছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে রাজবংশী সম্প্রদায়ের বাসিন্দার সংখ্যা রয়েছে বহু । এই রাজবংশীরা মুখোশ নাঁচ করে তাদের জীবন যাপন করে থাকেন।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসিয়া এবং অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুরে বাসিন্দারা এই মুখোশ নাঁচ করে আসছেন বহু দিন ধরে।২৫ জনের একটি দল তৈরী করে সঙ্গীত, ঢাক,ঢোল এবং মুখোস শিল্পীদের নিয়ে এই দল তৈরী হয়।কালিয়াগঞ্জ ব্লক, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও কলকাতাতেও এই শিল্পীরা অনুষ্ঠান করেন।বর্তমানে সারা পৃথিবীতে করোনা সংক্রামনের ফলে সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘ কয়েকমাস যাবদ মুখোশ নাচের শিল্পীরা কোন অনুষ্ঠান করার ডাক পাননি। বর্তমান এই দুর্মলের বাজারে রাজ্য সরকার থেকে শিল্পী ভাতা বাবদ মাসে এক হাজার টাকা দিচ্ছেন। এই স্বল্প টাকা দিয়েই কোন রকম দিন যাপন করছেন এই মুখোশ শিল্পীরা। গত কয়েক্ সপ্তাহ ধরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজের শুভ সূচনা। সেই অনুষ্ঠান গুলোতে এই মুখোশ শিল্পীদদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সরকারি নির্দেশের পরই মুখোশ শিল্পীরা অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাচ্ছেন ভেবে আনন্দে উৎসাহিত হয়েছেন তারা।প্রতি অনুষ্ঠানের জন্য শিল্পীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা।
এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ জানিয়েছেন,করোনা আবহের রেশ কিছুটা কেটেছে।পূজোর পর পরিস্থিতি আরো কিছুটা উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদি। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকে পথশ্রী প্রকল্প কর্মসূচীতে মুখোশ শিল্পীদের আমন্ত্রন করা হচ্ছে।এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন তিনি।
